রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
আব্দুল গাফফার তালুকদারের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া রিটানিং কর্মকর্তারা চাইলে দায়িত্বরত আসন ও প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবে………..নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বরিশালে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি ও হুমকি মহিপুরে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন সরকারি সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপির সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ অন্যদিকে ঘোর অন্ধকার কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে  ‘লাভ ফর ফ্রেন্ডস’ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সদর উপজেলা যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বঙ্গোগসাগরে ঘূর্নিঝড় মোন্থা,পায়রা বন্দরে ০২ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত মহিপুরে রাখাইন শিশুদের অংশগ্রহণে বাতিঘর’র বৃক্ষ রোপণ বাউফলে বিএনপি নেতা তসলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের মানববন্ধন বরিশালে প্রায় দেড় কোটি টাকার নকল সিগারেট জব্দ গণ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ
আম্পায়ার ভুল করলে তার কী সাজা হয়?

আম্পায়ার ভুল করলে তার কী সাজা হয়?

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আম্পায়ারিং। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল শিরোপা লড়াইয়ে অঘোষিত ফাইনাল। গতকালের ম্যাচটি ৫০ রানে হেরে সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪র্থ ওভারে ওশানে থমাসের করা শেষ বলটিতে মিড অফে ক্যাচ দেন লিটন দাস। কিন্তু তার আগেই সেটাকে নো ডাকেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বোলারের পা ভিতরেই ছিল। এই নো বল নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। ম্যাচ বন্ধ থাকে প্রায় ১০ মিনিট।

ক্রিকেটাররা সামান্য প্রতিবাদ করলেও যেমন কঠিন শাস্তির শিকার হন, আম্পায়ারদের জন্য তাৎক্ষণিক এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে তাদের পারফরম্যান্সও যে বিচার করা হয় সেটা জানান বিসিবির আম্পায়ার্স চিফ কোচ এনামুল হক মনি, ‘প্রতি ম্যাচে আম্পায়ারদের জন্য একজন লোকাল ও একজন আন্তর্জাতিক কোচ থাকেন। এই ম্যাচে লোকাল কোচ হিসেবে আমি ছিলাম। আমরা আমাদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখি ও তাদের সেটা বলি।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে কোনো দলের অসন্তুষ্টি থাকলে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক যে প্রতিবেদন জমা দেন তাতে সেটা উঠে আসে, ‘অধিনায়কের রিপোর্ট সবসময় কনফিডেনশিয়াল। সে আনহ্যাপি হলো অবশ্যই লিখবে। ম্যাচ রেফারিও একটা রিপোর্ট লিখবে। সেটা ওই আম্পায়ারের কাছে যাবে এবং অবশ্যই আইসিসির কাছে যাবে। এরপর সেই অনুযায়ী আম্পায়ার তার উন্নতির জন্য কাজ করবে।’

এনামুল হক মনির মতে, আম্পায়ারের উন্নতির জন্য তাদের দেখভালের দায়িত্বটা পালন করতে হয় লোকাল কোচদেরই। নিজে খেলা থেকে অবসরের পর বাংলাদেশের ১ম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে এক দশক আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘দেখুন আমার পর যারা এসেছে সবাই ভালো করছে। এ দুজন মাত্রই আইসিসি প্যানেলে ঢুকেছে। তানভীরের এই সিরিজেই অভিষেক হলো। হয়তো বাংলাদেশে তারা অভিজ্ঞ, কিন্তু আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নেই। ম্যাচে ডে-নাইট টেলিভাইজড ইস্যু ছিল। তাছাড়া এটি হাইভোল্টেজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। প্রেশার ছিল অনেক।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন আম্পায়ারের কাজ শুধু বল কাউন্ট করা বা আউট হলো কি হলো না সেটা দেখা নয়, বরং এরকম পরিস্থিতি হলো সে কিভাবে সামাল দিচ্ছে, রুলস কীভাবে প্রয়োগ করছে – সেটাই তার বিচক্ষণতার পরিচয়। এটা দ্বারাই তার যোগ্যতা নিরূপন করা হয়।’

পূর্ণ সদস্য দেশগুলো থেকে একাধিক আম্পায়ার নিয়ে প্রতিবছর প্যানেল তালিকা প্রস্তুত করে আইসিসি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আম্পায়ার ঠিক হয় বিসিবির সুপারিশেই। কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয় প্রায়ই। এখন তাই প্রশ্ন উঠছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো কি কোনোভাবে আম্পায়ারিংয়ের মান কমিয়ে দিচ্ছে?

এনামুল হক মনির বলেন, ‘অবশ্যই। দেখুন আমি টপ লেভেলে ক্রিকেট খেলে টপ লেভেলে আম্পায়ারিং করেছি। আর এখানেও ঘরোয়া ক্রিকেটটাই হলো অনুশীলনের জায়গা। তো আপনি যদি ভালো প্রাকটিস করতে না পারেন, পরিচ্ছন্নভাবে ম্যাচ পরিচালনা করতে না পারেন, তাহলে তো ডেভেলপ হবে না। আমাদের ডমেস্টিকে যেসব বাধা আছে সেগুলো ওভারকাম না হলো তার প্রভাব পড়বেই।’

এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট সম্প্রচার না হওয়াও একটা কারণ হিসেবে দেখছেন এনামুল হক। তবে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই আম্পায়ারদের সেরাটা বের করে আনার তাগিদ তার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD